সিলেটে ঈদেও থাকছে বৃষ্টির য ন্ত্র ণা

গত ২৭ ঘন্টায় সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ প্রায় ১শ’ মিলিমিটার। এখন বৃষ্টি না ঝরলেও যখন তখন শুরু হতে পারে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। এদিকে বৃষ্টির পূর্বাভাসও দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মানে, এবার সিলেটবাসীর জীবনে পবিত্র ঈদুল আজহা আসছে বৃষ্টি নামক বড় দুর্যোগ সাথে নিয়ে।

মুসলিম উম্মাহর অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। এই ঈদে সামর্থ্যবানরা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি দেন। হযরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তাঁর প্রিয় পূত্র হযরত ইসমাইল (আ.)কে কোরবানি দিতে চেয়েছিলেন। যখন পূত্রের গলা কাটতে ধারালো ছোরা নিয়ে চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন, ঠিক তখনি মহান আল্লাহর নির্দেশে হযরত জিবরাইল (আ.) ইসমাইলকে সরিয়ে নিয়ে তার স্থলে একটি দুম্বা রেখে দেন। সেই থেকে ঈদুল আজহায় পশু কোরবানির বিধান আসে, তবে তা কেবল সামর্থ্যবানদের জন্য ফরজ করা হয়েছে।

এবার পবিত্র ঈদুল আজহা আগামীকাল সোমবার ১৭ জুন। এই ঈদকে কেন্দ্র করে সিলেট অঞ্চলে স্থায়ী পশুর হাটগুলোর পাশাপাশি অস্থায়ীভাবেও প্রচুর পশুর হাট বসেছে। সেগুলোতে বেঁচাকেনাও হচ্ছে বেশ ভালো। গ্রামাঞ্চলের সামর্থ্যবানরা পছন্দের গরু ছাগল বা ভেড়া ইতিমধ্যেই ক্রয় করেছেন। শহরের ক্রেতারাও মোটামুটি কেনাকাটা সেওে ফেলেছেন। যাদের পশু রাখার সমস্যা তারা অবশ্য শেষ মুহুর্তে কেনাকাটার ঝামেলা সারবেন। মানে আজ রাতের মধ্যেই কেনাকাটার ঝামেলা মিটে যাবে।

ঈদের সকালে নামাজ আদায় করার পর সবাই পশু কোরবানি দিবেন। তবে পবিত্র এ কাজটি সারতে বেশ বেগ পেতে হতে পারে। কারণ, আজ রোববারসহ গত কয়েকদিনের বৃষ্টির রেশ ঈদের দিনেও থাকার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরতো ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে।

আজ রোববার দুপুরে সিলেট আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শাহ মো. সজিব সিলেট প্রতিদিনকে জানিয়েছেন, শনিবার সকাল ৬টা থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে প্রায় ৬৬ মিলিমিটার। আবার  রোববার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত এ অঞ্চলে বৃষ্টি ঝরেছে ২৮ সেন্টিমিটার।

তিনি জানান, এই মহুর্তে তেমন একটা বৃষ্টি দেখা যাচ্ছেনা, তবে যখন তখন তা প্রবেশ করতে পারে। 

ঈদে স্বস্তির কোনো সুযোগ দেখছেণ কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, নাহ। ওরকম কিছু বলা যাচ্ছেনা। 

মানে, এবার বৃষ্টির বাগড়ার বিষয়টি মাথায় রেখেই শুধু নয়, বরং বৃষ্টির হানা প্রতিরোধের উপায় ঠিক করে তারপর কোরবানির আনুষ্ঠানিকতা সারার প্রস্তুতি নিতে হবে সিলেটবাসীকে।