আন্দোলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও ভূমিকা ছিল: ইমন
সিলেট সমাচার
প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়ক মো.ইমন। সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নে মোহাম্মদ রাসেল ও মিনু আক্তারের বড় ছেলে তিনি।
২০১৯ সালে পটিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে মেডিক্যাল কলেজে পড়ার স্বপ্ন থাকলেও তা পূরণ হয়নি।
২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষে থাকাকালীন প্রথম আটক হয়েছিলেন পুলিশের হাতে।
এরপর ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন আন্দোলনে যুক্ত থাকায় বার বার গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করেছেন। বর্তমানে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের ৫ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী তিনি। কথা বলেছেন বাংলানিউজের সঙ্গে চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।
আন্দোলনে কিভাবে যুক্ত হলেন?
ইমন: আমি ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকেই বিভিন্ন অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে রাজপথে সক্রিয় ছিলাম। যখন চলতি বছর আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৫৬ শতাংশ কোটা সংস্কারের আন্দোলনে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের ডাক দিল, তখন আবার রাজপথে নেমেছি।
চট্টগ্রামে কিভাবে শিক্ষার্থীদের সংগঠিত করেছিলেন?
ইমন: আমরা যেকোনো বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ডাক দিলেই সঙ্গে সঙ্গে তারা চলে আসতেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আরও কিছু শিক্ষার্থীকে যোগ করা হতো। একজন শিক্ষার্থীকে দিয়ে ৫ জন বা পরিচিত থাকলে তার মাধ্যমে আরও শিক্ষার্থী আমাদের আন্দোলনে যুক্ত হয়। এছাড়াও নগরের বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে গোপনে আন্দোলনের বিষয় নিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছিল।
আপনি জামালখান থেকে আটক হয়েছিলেন, কিভাবে মুক্তি পেয়েছেন?
ইমন: আমি জামালখান এলাকা থেকে আটক হই। যখন কেন্দ্রীয় কমিটির ছয়জন সমন্বয়ককে ডিবি’র হারুন তার কার্যালয়ে আটকে রাখেন, তখন তাদের মুক্তি চেয়ে আমরা ২৯ জুলাই রাজপথে কর্মসূচি দিলাম। সেদিন আমি পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় ফটোসাংবাদিকরা আমার ছবি তুলছিলেন। আমি প্রিজন ভ্যান থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কেন কথা বললাম, সেজন্য আমাকে থানায় নিয়ে অনেক নির্যাতন করেছে। পরবর্তীতে আমাকে রাজনৈতিক ট্যাগ দেওয়ার চেষ্টা করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম হওয়ায় আমাকে রাত তিনটার দিকে অন্যদের সাথে থানা থেকে ছেড়ে দিয়েছিল।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কিভাবে আন্দোলনে যুক্ত করলেন?
ইমন: ২০২৪ সালের ১ জুলাই ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ নামের সংগঠনটির জন্ম হয় কোটা সংস্কারের লক্ষ্যে। এই আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। পাশাপাশি সকল সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভূমিকাও ছিল। স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই আন্দোলন অংশগ্রহণ করেছিল। আহত ও নিহতদের সংখ্যার মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। তখন আমরা সম্মিলিতভাবে একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গ্রুপ চালাতাম। যৌক্তিক দাবি পূরণে সেই গ্রুপে চট্টগ্রামের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যুক্ত হতে থাকে। একদিন ১০ জন হলে অন্যদিন ১৫ জন, তার পরদিন ২০ জন- এভাবেই বাড়তে থাকে সংখ্যা।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষ কিভাবে সম্পৃক্ত হলো?
ইমন: আন্দোলন চলাকালীন অনেক কোচিং সেন্টার খোলা ছিল। আমার বন্ধু-বান্ধবী ও পরিচিত অনেকে কোচিং সেন্টারে ক্লাস নিতেন। সেখানে শিক্ষার্থীদের আকার-ইঙ্গিতে আমাদের আন্দোলনের বার্তা পাঠানোর জন্য অনুরোধ করতাম। অনেকে বার্তা পাঠিয়ে দিতেন। অনেক চিকিৎসক আমাদের সঙ্গে আন্দোলনে যেতেন। প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম নিয়ে যেতেন, যাতে আঘাত পেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে পারেন। আন্দোলন চলাকালে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন ভবন থেকে আমাদের নাস্তা ও পানি দিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন।
আন্দোলন চলাকালে কোথায় থাকতেন?
ইমন: আন্দোলন চলাকালে আমি বাসায় থাকতে পারতাম না। সারাদিন রাজপথে থাকতাম বা কোথাও প্রোগ্রাম হলে সেখানে চলে যেতাম। রাতের বেলায় জিইসির মোড়ের দিকে একটি বাসায় থাকতাম। আমি যেখানে থাকতাম, সেখানে এক বড় ভাই আমার থাকা ও খাওয়ার বিষয়গুলো দেখতেন। আরও কয়েকজন বড় ভাই আমাকে সহযোগিতা করতেন। আমি টিউশন করতাম ৫টি। সেগুলো করতে পারিনি ঠিকমতো। ২০১৮ সাল থেকেই আমার প্রতিষ্ঠিত নবম-দশম শ্রেণির একটা ব্যাচ চলছিলো। অনলাইনে ডিএনএ স্টাডি পয়েন্টের ফেসবুক পেইজে ভিডিও আপলোড করতে পারছিলাম না। একটু আর্থিকভাবে অসচ্ছল হয়ে যাই তখন।
কেমন চট্টগ্রাম দেখতে চান?
ইমন: এমন চট্টগ্রাম দেখতে চাই যেখানে প্রশাসন, বিচার বিভাগ, রাজনীতি, কাস্টমস, বন্দর, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সহ সকল সেক্টর দুর্নীতিমুক্ত, চাঁদাবাজ মুক্ত, হয়রানি মুক্ত হবে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধ হোক। ফুটপাত দখল করে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক। বর্তমান উপদেষ্টার কাছে জলাবদ্ধতা নিরসনের একটি ম্যাপ চাই। বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম আরও সমৃদ্ধ থেকে সমৃদ্ধতর হোক। অন্যায়ের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের গর্জে ওঠা কণ্ঠস্বর আগামিতে আরও বলিষ্ঠ হোক। সকল শহীদদের আমরা স্মরণ করি, তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। তাদের রক্তদান আমরা বৃথা যেতে দেবো না। নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়ে এই স্বাধীনতাকে রক্ষা করবো, ইনশাআল্লাহ।
- হবিগঞ্জে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২০
- কোম্পানীগঞ্জে ২ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় নাসির বিড়ি আ/ট/ক
- যাদুকাটার তীর কেটে বালু উত্তোলন, ২৫ জনের সাজা
- সিলেটে কঠোর হচ্ছে ট্রাফিক বিভাগ, নিষেধাজ্ঞা
- সিলেট সীমান্তে প্রায় দুই কোটি টাকার পণ্য জব্দ
- নানকের পালানোর ঘটনায় জুড়ী-বড়লেখা সীমান্তে যৌথবাহিনীর অভিযান
- প্রতিবেশী দেশগুলোতে ইলিশ ও সারের চোরাচালানের ঝুঁকি রয়েছে
- মাইগ্রেনের ব্যথা কমাবে ৩ পানীয়
- কাপ্তাই হ্রদ থেকে ১৫ দিনে ২ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়
- সাড়ে ৯ বছর পর চট্টগ্রামে আসছেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন
- ইপিজেডে গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
- যখন প্রয়োজন হেয়ার ট্রিম
- রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত আইওএম’র
- সেনাবাহিনী ও বিদ্যানন্দের উদ্যোগে ‘এক টাকায় বাজার’
- ভারতীয় স্পিনারদের সামলাতে বিশেষ প্রস্তুতি সাদমানের
- আমুর দুই সহকারীসহ ৯৩ জনের নামে মামলা
- দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির গণসমাবেশ
- ব্যাংক খাতের সংকট নিরসনে বিশ্বব্যাংকের কাছে অর্থ সহায়তা চেয়েছে
- পুনর্বাসনসহ সৌদি ফেরত প্রবাসীদের পাঁচ দাবি
- আইসিসিবিতে শুরু হচ্ছে ১১তম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার
- ট্রাম্পকে নিশানা করতে ১২ ঘণ্টা অপেক্ষায় ছিল আরেক বন্দুকধারী
- বাগেরহাটে টানা বৃষ্টিতে ভেসে গেছে কোটি কোটি টাকার মাছ
- মাদকের গডফাদারদের ধরে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্ট
- সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন তিন দিনের রিমান্ডে
- অনুপ্রবেশচেষ্টার মামলায় জামিন পেলেন মানিক
- নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ, চলছে জাসাসের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
- শাহরিয়ার কবির, শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল বাবুর ৭ দিনের রিমান্ড
- ব্যাংক খাতের সংকট নিরসনে বিশ্বব্যাংকের কাছে অর্থ সহায়তা চেয়েছে সর
- গতিশীল প্রবাসী আয় রিজার্ভের পতন ঠেকাচ্ছে: বাংলাদেশ ব্যাংক
- চালু কারখানায় বন্ধ কারখানার শ্রমিকদের হামলা, সংঘর্ষে নারী নিহত
- কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার ইচ্ছা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই
- দেশে ফিরেছেন লিবিয়ায় আটকেপড়া ১৫০ বাংলাদেশি
- সিলেটে মা/দ/ক কারবারে নারীরা, র্যাবের খাঁচায় ৪জন
- বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে স্বল্প জীবনকালীন ফসল চাষের আহ্বান
- পাচারের অর্থ ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা
- অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন জানালেন জাতিসংঘ মহাসচিব
- এস আলমের সম্পত্তি না কেনার আহ্বান গভর্নরের
- বাংলাদেশের দারুণ শুরুর পর আইয়ুব-শাকিলের প্রতিরোধ
- মৌলভীবাজারে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে ৩ লাখ মানুষ
- আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা দেবে সব সিএমএইচ
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি ড. আমানুল্লাহ
- বন্যার্তদের সহায়তার আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার
- মহেশখালীতে পাহাড় ধসে একজনের মৃত্যু
- ফেনীতে চারিদিকে বানের ক্ষত, কৃষিখাতে ক্ষতি ৯০০ কোটি টাকা
- ইউপি চেয়ারম্যানদের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব পাবেন যারা
- খাগড়াছড়িতে মাছ ধরতে গিয়ে ২ কিশোর নিখোঁজ
- দু’দিন পর সিলেটের সঙ্গে দেশের রেল যোগাযোগ সচল
- সময় টিভির সম্প্রচার বন্ধ: আপিলের আদেশ মঙ্গলবার
- জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রায় থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা