কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দুই শিক্ষার্থীর লিভ-টু-আপিল

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুই শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় দুই শিক্ষার্থীর পক্ষে লিভ টু আপিল করা হয়েছে বলে জানান সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক।

তিনি বলেন, ‘আগামী রোববার (২১ জুলাই) আদালতে বিষয়টি মেনশন করে এ সংক্রান্ত শুনানির তারিখ এগিয়ে আনার আবেদন করবো।’

এর আগে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ের সার্টিফায়েড কপি পেয়ে ১৬ জুলাই আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিলের অনুমতি চেয়ে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মুহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন।

গত ১৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ২৭ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। সে রায়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতি, নাতনিদের জন্য কোটা পুনর্বহাল করতে বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি জেলা, নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, উপজাতি–ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য কোটাসহ (যদি অন্যান্য থাকে) সব কোটা বজায় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে হাইকোর্ট রায়ে বলেছেন, ‘প্রয়োজনে উল্লেখিত শ্রেণির ক্ষেত্রে কোটা পরিবর্তন ও হার কমানো বা বাড়ানোর বিষয়ে এ রায় বিবাদীদের জন্য কোনো বাধা তৈরি করবে না। যে কোনো পাবলিক পরীক্ষায় কোটাপূরণ না হলে সাধারণ মেধাতালিকা থেকে শূন্যপদ পূরণ করায় বিবাদীদের স্বাধীনতা রয়েছে।’

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া এ রায় স্থগিত চেয়ে ঢাবির দুই শিক্ষার্থী ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নেন আদালত। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগ কোটা নিয়ে আইনি বিরোধের বিষয়বস্তুর ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা (স্ট্যাটাসকো) দেন। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল (সিপি) করেতে বলা হয় এবং পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৭ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়।