সিলেটে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শিবির-ছাত্রদলের কর্মীরা

সারাদেশের মতো সিলেটেও চলছে কোটা সংস্কার আন্দোলন। গত কয়েকদিন ধরে চলমান এই আন্দোলন সাধারণ শিক্ষার্থীরা করলেও সময়ের সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে সুবিধাবাদী জামাত- শিবির ক্যাডার ও বিএনপির নেতাকর্মীরা।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা দুই দফা সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে। ফলে দুই পাশে আটকা পড়ে যানবাহন। অবরোধস্থলে তখন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, স্পেশাল ফোর্স ক্রাইসিস রেসপন্স টিম (সিআরটি) উপস্থিত ছিল।

এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিল।

সূত্র বলছে-  ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এসে শেষ হয়। তখন সেখানে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় বিক্ষিপ্ত ভাবে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় জামাত শিবিরের নেতাকর্মী ও ছাত্রদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা।পরে  তাদেরকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্যাম্পাসের গোল চত্বরে ফিরে যেতে দেখা গেছে। এসময় তাদের হাতে দেখা যায় দেশীয় অস্ত্র। বিশেষ করে এসএস পাইপ, বাঁশের লাঠি, স্ট্যাম্প ও রামদা ইত্যাদি।

এদিকে, বিকেলে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের মধ্যে অবস্থান নেয়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন কোটাবিরোধী আন্দোলনের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব।

তিনি বলেন, আমরা বৈষম্যমূলক কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আমরা সকল হামলা-মামলার জবাব রাজপথে দেবো। 

তিনি মেয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পতাকাসহ লাটি আপনাদের কাছে দেয়া হবে। আপনারা এগুলো হলে নিয়ে রাখবেন। পরে যখন ডাকবো এগুলো নিয়ে গোল চত্বরে চলে আসবেন।

এদিকে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ভিরে বহিরাগতরা প্রবেশ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। তবে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কয়েকজন শিক্ষার্থীর হাত থেকে কয়েকটি বাঁশের লাঠি ও এসএস পাইপ গেইটে রেখে দেয়। তারা ক্যাম্পাস থেকে গাছের বড় বড় ডাল ভেঙে সেগুলো হাতে নিয়ে মিছিল দেন। এসময় মেয়ে শিক্ষার্থীদের হাতেও দেখা যায় লাঠিসোঁটা।